রাজস্থলী উপজেলা পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম বৈচিত্রপূর্ণ বর্ণিল উপজেলা। পাহাড়ি বাঙালির অনন্য ভাতৃত্ববোধ ও সোহার্দ্যপূর্ণ পারস্পারিক সহাবস্থান, উপজেলাটিকে ইতোমধ্যেই সম্প্রীতির রাজস্থলী হিসেবে পরিচিত এনে দিয়েছে। ১৪৫.০৪ বর্গ কিমি এর রাজস্থলী উপজেলাটি রাঙ্গামাটি জেলার ক্ষুদ্রতম উপজেলা হলেও জাতিগত বৈচিত্রে রাজস্থলীর বিশেষ অবস্থান রয়েছে। এ উপজেলায় মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, চাকমা, খিয়াং, পাংখোয়া প্রভৃতি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বসবাস। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য, দেশের প্রত্যেক অঞ্চলের মানুষের বৈষম্যহীন সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সকল সেবা রাজস্থলীর সাধারণ মানুষ যাতে দ্রুত এবং সহজে গ্রহণ করতে পারে সেলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন রাজস্থলী সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছে। ভৌগলিক অবস্থান যেমনি রাজস্থলীকে করেছে নয়নাভিরাম ঠিক তার উলটো দিকে পাহাড়ি পরিবেশের কারনে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রধান অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে অপ্রতুল যোগাযোগ ব্যবস্থা। বর্তমান সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছার কারনে পার্বত্য চট্টগ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিকরণ হচ্ছে ফলশ্রুতিতে রাজস্থলী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হচ্ছে। যা এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি সহ চিকিৎসা, শিক্ষা এবং কৃষিক্ষত্রেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। রাজস্থলী উপজেলাটি পর্যটন ক্ষেত্রেও ব্যপক সম্ভাবনাময় একটা স্থান। পর্যটকদের নিকট রাজস্থলী সময়ের সাথে সাথে উপজেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের সমাগম দৃশ্যমান হচ্ছে। আশা করা যায় অচিরেই রাজস্থলী শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প, বাণিজ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি সতন্ত্র অবস্থান সৃষ্টি করবে। জনগনের সার্বিক উন্নতিকল্পে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে উপজেলা প্রশাসন অঙ্গীকারাবদ্ধ। আসুন উপজেলা প্রশাসনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে রাজস্থলী উপজেলাকে একটি আদর্শ উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলি, সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতি অবিচল থেকে মাটি ও মানুষের কাঙ্খিত উন্নয়ন করি।
রাজস্থলীর সার্বিক উন্নয়নে রাজস্থলী বাসীর যেকোন মূল্যবান পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে। উপজেলার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
সজীব কান্তি রুদ্র
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
রাজস্থলী, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস